মঙ্গলবার ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। ১ হাজার ৪৪৬ বছর আগে এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্ম নিয়েছিলেন। আবার এ দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। তাই দিনটি বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী মানুষের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।মুসলমান সম্প্রদায় যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করে। অশেষ পুণ্যময় এদিনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিশেষ ইবাদত বন্দেগি করে। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বাণী দিয়েছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি উদযাপনে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহানবী (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, সমাবেশ, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত ও ধর্মীয় শোভাযাত্রা।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকের অশান্ত ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতমুখর বিশ্বে প্রিয় নবী (সা.)-এর অনুপম শিক্ষার অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সমাজে বিদ্যমান শত অনাচার ও কদর্য-গ্লানি উপেক্ষা করে মহানবী (সা.) মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মানবজাতির জন্য উজ্জ্বল অনুসরণীয় আদর্শ।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সোমবার থেকে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এদিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব চত্বরে বাদ মাগরিব ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। এছাড়া পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে আছে- ওয়াজ মাহফিল, সেমিনার, ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি ও মহানবী (সা.)-এর জীবনভিত্তিক পোস্টার ও গ্রন্থ প্রদর্শনী, ইসলামী বই মেলা, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত ও হামদ-না’ত মাহফিল এবং রাসূল (সা.) শানে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব চত্বরে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
পবিত্র এই দিনটি উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব বুধবার বাদ আসর জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদে ওয়াজ মাহফিল ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।