হরতাল-অবরোধ-নাশকতায় ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়া ইসরায়েলের সাথে হাত মিলিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ১৪ দলের প্রধান সমন্বয়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা স্পস্ট বলতে চাই নির্বাচন অবশ্যই হবে, তবে ২০১৯ সালের একদিন আগেও হবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কে সরকারে থাকবে বা থাকবে না।’
মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে এক জনসভায় তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের আসলাম চৌধুরী সরকার উৎখাত করতে চেয়েছিল ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে হাত মিলিয়ে।
“১৪ দলের সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না। ১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত হরতাল-অবরোধ-নাশকতা করে ব্যর্থ হয়। অকৃতকার্য হয়ে খালেদা জিয়া ইসরায়েলের সাথে হাত মিলিয়েছে।”
‘সরকার উৎখাতের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, নাশকতা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে’ জনমত সৃষ্টির লক্ষে এ জনসভার আয়োজন করে চট্টগ্রামের ১৪দল।আসলাম চৌধুরী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পরামর্শেই ইসরায়েলি ওই রাজনীতিবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে চট্টগ্রামের জনসভায় দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম।
“যারা লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যারা মুসলিম জাহানকে ধ্বংস করতে চায়- খালেদা জিয়ার পরামর্শে আসলাম চৌধুরী তাদের সাথে যোগাযোগ করেছে।
“ইসরায়েলের সাথে হাত মিলিয়ে খালেদা জিয়া জঘন্য কাজ করেছে। বলে দিতে চাই, যত চক্রান্তই হোক- শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে পারবে না।”
যে কোনো মূল্যে বিএনপি-জামায়াতের ‘চক্রান্ত’ বন্ধ করা হবে জানিয়ে নাসিম বলেন, “বিএনপি-জামায়াত বসে নেই। তারা জঙ্গি উত্থান ঘটিয়েছিল, আমরা উৎখাত করেছি। মোসাদকে নিয়ে তারা আবার চক্রান্ত শুরু করেছে।”
সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যার বিষয়ে জাসদ’র কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, “চিনে না, জানে না- চৌদ্দ গোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক নেই, এমন লোককে কোপানো শুরু করছে।
“টাঙ্গাইলের দর্জির দিনে উপার্জন ২৫ টাকা। তাকে খুন করল। নাইক্ষ্যংছড়ির ভিক্ষু মনে হয় একটা পিপড়াও মারে না। তাকে কোপায়। কেন? কি কারণে?”
মাঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, “যারা কোপায় তাদের নেতাদের চ্যালেঞ্জ দিতে চাই। খোদার কোরআনে-কিতাবে কোন হাদিসে কোন সুরায় এরকম কোপানোর কথা আছে, বলতে হবে। দেখাতে পারলে সব ছেড়ে দেব।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশ ‘উঠে আসছে’ তাই ‘অগ্রযাত্রা’ ঠেকাতে ‘কোপানো’ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাদল।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কাস পার্টির কামরুল আহসান ও ন্যাপ নেতা এনামুল হক বক্তব্য রাখেন।
জনসভাটি নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে হওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার থেকে দেশে আসতে পারেননি বলে জানানো হয়।উক্ত জনসভায় মহানগর ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক রনির মুক্তির জোর দাবি উঠে।
চট্টগ্রামের ১৪দলের জনসভায় মোহাম্মদ নাসিম।
Date:
Share post: