২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদরা। এছাড়া, পাবলিক পরীক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা, চারু ও কারুকলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা এই চারটি বিষয় বাদে অন্য বিষয়গুলো ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনারও সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। ২৫ ও ২৬ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কক্সবাজারে এক সেমিনারে মাধ্যমিক শিক্ষার মান বাড়াতে ১৫টি সুপারিশ করেন শিক্ষাবিদরা। শিক্ষামন্ত্রী সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন।
সুপারিশের মধ্যে আরও আছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারির আগেই এই পাঠ্যপুস্তক সম্পন্ন করা হবে। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের জন্য একটি টাইমলাইন বেঁধে দেওয়া হবে। যাতে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া যায়।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘পাবলিক পরীক্ষায় বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত না করে বিদ্যালয় পর্যায়ে সম্পূর্ণভাবে বিষয়গুলো ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়। তবে বিষয়গুলো যাতে স্কুল পর্যায়ে ভালোভাবে পড়ানো হয় এবং শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সেজন্য কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবন করার সুপারিশ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বই পড়াতে উৎসাহিত করতে কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ অন্তর্ভুক্ত করা এবং বছরের একদিন বইপড়া দিবস পালন করা যেতে পারে। পাশাপাশি শিক্ষকদের সহায়তার জন্য শিক্ষা গাইড যথাসময়ে করতে হবে।’
সুপারিশে দেশের পরীক্ষা পদ্ধতি বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘র স্কোর’ এর পরিবর্তে ‘স্ট্যার্ন্ডাটাইজ স্কোর’ ব্যবহার করার বিষয়টি অপরিহার্য।
২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বাংলাদেশ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (বিইডিইউ) একটি পরীক্ষামূলক ফলাফল তৈরি করবে। তবে এই ফলাফল ওই বছরের ফলাফলে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা) ও সৃজনশীল প্রশ্নের মানোন্নয়নের করতে আইটেম ব্যাংক (নাম পরিবর্তন হতে পারে) তৈরি করা হবে। প্রশ্নের সঙ্গে নমুনা কিছু উত্তর যাচাই-বাছাই করে (স্ট্যান্ডার্ড) সরবরাহ করা বা উন্মুক্ত করা যেতে পারে শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের অভিজ্ঞতা নিয়ে আইটেম ব্যাংক করার একটি ধারণাপত্র প্রস্তুত করে বিইডিইউ অবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
নবম-দশম শ্রেণির নির্বাচিত কয়েকটি পাঠ্যবই পরিমার্জন করে সুখপাঠ্য, আর্কষণীয় ও সহজবোধ্য করা হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষাবিদদের একটি প্যানেল তৈরি করা হবে। অন্তর্ভুক্ত করা হবে শ্রেণি শিক্ষকদেরও। শিক্ষার মনোন্নয়নে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।