ইরান থেকে ছোড়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ব্যবহৃত ‘অ্যারো‘ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্রুত ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের—এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউজেএসজে)। চলমান সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরেই বিষয়টি জানে এবং ইতোমধ্যে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তি জোরদার করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছে। ভূমি, নৌ ও আকাশ—তিন ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে।
জুন থেকে সংঘর্ষ তীব্রতর হওয়ার পর পেন্টাগনও মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা উপস্থিতি বাড়িয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ সরবরাহও চাপে পড়ছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রকল্পের পরিচালক টম কারাকো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল কেউই সারাদিন বসে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পারে না। ইসরায়েল ও তাদের মিত্রদের আরও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, বসে থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর খেলায় থাকা যাবে না।’
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ও সজ্জিত’, তবে গোলাবারুদ ও সরঞ্জামসংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
‘অ্যারো’ ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি উচ্চাকাশে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম, যা ইরান থেকেও ছোড়া হতে পারে।