আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শুক্রবার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, ইউক্রেন পশ্চিমাদের দেয়া যুদ্ধবিমান ব্যবহার করতে পারে- এমন উদ্বেগের কারণে ভিত্তিতে রাশিয়া ‘সম্ভবত’ একটি অগ্রগামী নজরদারি বিমান ব্যবহার করছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার তাঁর দৈনিক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেছেন, “রাশিয়া অন্য জাতির বিরুদ্ধে আগ্রাসনের জন্য সুবিধা হিসেবে কৃষ্ণ সাগরকে নিজের জন্য রাখার আশা হারিয়েছে।”
এদিকে বৃহস্পতিবার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত নতুন গবেষণা অনুসারে, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে ২৪০০-এর বেশি ইউক্রেনীয় শিশুকে বেলারুশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধাপরাধের প্রসিকিউটররা ইউক্রেনের শিশুদের জোরপূর্বক স্থানান্তরকে সম্ভাব্য গণহত্যা হিসেবে তদন্ত করছেন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে দুজন নিহত এবং অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা একথা জানান।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের শীর্ষ বিদেশী কূটনীতিক ডেভিড ক্যামেরন ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টার জন্য অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিতে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে সফর করেছেন।
যুক্তরাজ্য বলেছে, ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই যুক্তরাজ্যের অবস্থান। তারা ইউক্রেনে ৫৭০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে। দেশটি ৩০ হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে সামান্যই সফলতা দেখা গেছে এবং মনে হচ্ছে যুদ্ধ একটি অচলাবস্থায় পৌঁছেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার দেশের যুদ্ধে অচলাবস্থা একটি “আগ্নেয়গিরি যা ঘুমিয়ে আছে তবে অবশ্যই সেটি জেগে উঠবে।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মতে, যুদ্ধ যদি অচলাবস্থায় পরিণত হয়, তাহলে ইউক্রেনীয়দের ভবিষ্যত প্রজন্মকে যুদ্ধ করতে হবে। কারণ রাশিয়া “আবার আক্রমণ করবে যদি তাকে পরাজিত করা না হয়।”
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি দ্য ইকোনোমিস্টকে বলেন, যুদ্ধ “প্রযুক্তির এমন স্তরে পৌঁছেছে যা আমাদের অচলাবস্থার মধ্যে ফেলেছে।”