সময় ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ট্রাভি্স কিং জুলাই মাসে অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে রয়েছেন বলে বুধবার সেখানকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে উত্তর কোরিয়া রয়টার্সকে জানায়, তারা কিং এর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত শেষ করে তাকে বহিষ্কার করছে। গত জুলাই মাসে কোরিয়ার ভারী সামরিকীকৃত সীমান্ত অতিক্রম করলে, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা তাকে আটক করে।
আক্রমণ করার অভিযোগে কিং দক্ষিণ কোরীয় জেলে কিছু সময় কাটানোর পর তার কর্মস্থল টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিসে ফিরে আসেন। সেখানে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী থেকে পৃথক করার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছিল। ১৭ই জুলাই যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে ওঠার ঠিক আগেই তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে একদিন পর অসামরিক লোক হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করেন।
কেসিএনএ জানিয়েছে, যৌথ নিরাপত্তা এলাকায় দায়িত্বরত উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা কিং কে ধরে নিয়ে যায়। কারণ সাদা পোশাকে থাকা আমেরিকার এই সৈন্যটি “ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর কোরিয়া- যুক্তরাষ্ট্র সামরিক যোগাযোগের কক্ষ এবং সামরিক সীমানা রেখা বরাবর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিশ্রামাগারের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল।”
উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বুধবার জানায়, যুক্ত্ররাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অমানবিক আচরণ ও জাতিগোষ্ঠীগত বৈষম্যের কারণে কিং হতাশ ছিলেন এবং একই কারণে তিনি উত্তর কোরিয়া বা অন্য কোথাও আশ্রয় প্রত্যাশা করছিলেন।