সময় ডেস্ক
সকালে অস্ট্রেলিয়ান ক্লাব নিউ সাউথ ওয়েলসের চাকরি ছাড়ার খবরেই নিশ্চিত হয়ে যায়, চান্ডিকা হাথুরুসিংহেই বাংলাদেশের নতুন কোচ হচ্ছেন। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যায় এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)।
এরপরই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানে হাথুরুকে ফেরানোর কারণসহ একাধিক সহকারী কোচ নিয়োগের ব্যাপারে কথা বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গুলশানে নিজ বাসভবনে পাপন বলেন, হাথুরুর বিষয়ে আরও পরে জানানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দ্বিধা দূর করার জন্যই আগেভাগে বলে দেওয়া হয়েছে।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, “পরিকল্পনা ছিল ও (হাথুরুসিংহে) ২০ তারিখে আসবে, তার কিছুদিন আগে বলব। যেহেতু আমি কাল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায় চলে যাচ্ছি। কাজেই কে আবার কি বলে না বলে, কোন ঠিক নাই। সেজন্য দ্বিধা দূর করে ফেলাই ভাল।”
তবে শুধু হেড কোচের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই চিন্তামুক্ত হতে পারছে না বিসিবি। তারা হেড কোচের জন্য একাধিক সহকারীও খুঁজছে। বর্তমানে ক্রিকেটের ঠাসা সূচির কথা বিবেচনা করে একাধিক সহকারী খুজছেন বলে জানান পাপন।
“আমরা সহকারি কোচ খুঁজছি । কারো পক্ষেই দেশে ও দেশের বাইরে সবগুলো সিরিজ ও ডেভোলাপমেন্ট প্রোগ্রামে থাকা সম্ভব হবে না। কেউ এক সিরিজে না থাকলে অন্য একজন গেল। এখনো পর্যন্ত কেউ রাজি হয়নি। অনেকের সঙ্গে কথা বলছি তাই নাম বলতে চাই না। ২৪ তারিখের মধ্যে জেনে যাবেন” যোগ করেন বিসিবি সভাপতি।
২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচ ছিলেন হাথুরুসিংহ। প্রথম দফায় তার বিদায় সুখকর ছিল না। তবুও কেন তাকে ফেরানো হলো, তার ব্যাখাও দিয়েছেন পাপন। বোর্ডের চাহিদা মিলে যাওয়াতেই হাথুরুকে ফেরানো হয়েছেন বলে জানান তিনি।
বিসিবি সভাপতি বলেন, “অনেক কারণে নিয়েছি। আগের অভিজ্ঞতা একটা কারণ। আরেকটা হচ্ছে হাই লেভেল বা মিড লেভেলের কাউকে চাইলেও তারাও একটানা থাকবে না। ওরা দিনের হিসাব করে, ১০০ দিন, ২০০ দিন। ২০০ দিনের বেশি করবেই না। এছাড়া বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কাজ করে। ওই সময় ছুটি দিতে হবে। কিন্তু ওই সময় ছুটি দিলাম তখন জাতীয় দলের খেলা থাকলে কি হবে? এসব কিছুতে হাথুরুসিংহের কোন সমস্যা নেই। ও যেটা ধরে সেটাতেই থাকে। এটা একটা বিরাট সুবিধা।”