মুদির দোকানের কর্মচারি লক্ষ্মণ দাসী খুন করেন শিশু মারজানকে

Date:

Share post:

নিউজ ডেস্ক

চিপস কিনে বাসায় ফেরার সময় জোর করে মুদির দোকানের গোডাউনে নিয়ে যায় কর্মচারি লক্ষ্মণ দাশ। গোডাউনে নিয়ে পাশাবিকভাবে ধর্ষণ করে ওই কর্মচারি, ধর্ষণের সময় গোপনাঙ্গে রক্ত বের হলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় চঞ্চল প্রকৃতির সাত বছরের শিশু কন্যা মারজান হক বর্ষাকে। পরে তাকে বস্তায় ভরে পাশের নালায় ফেলে দেয় পাষণ্ড লক্ষ্মণ।

এমন পাশবিকতার পরেও তার চলাফেরা কাজকর্মে কোন অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যায়নি। দিব্যি কাজ করছিল মারজানদের প্রতিবেশি দোকান কর্মচারি ২৮ বছর বয়সী এ লক্ষ্মণ। নিখোঁজের তিনদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নালা থেকে বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধারের পর রাতে সন্দেহজন বেশ কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে নেয় জামালখানের মুদির দোকান শ্যামলী স্টোরের কর্মচারি লোহাগাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মণ দাশ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোতোয়ালী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মারজান হক বর্ষা চিপস কিনে গলি দিয়ে বাসায় ফেরার পথে তাকে ফুসলিয়ে গোডাউনে নিয়ে যায় শ্যামলী স্টোরের কর্মচারি লক্ষ্মণ। তাকে গোডাউনের ভেতর নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। এসময় বর্ষার গোপনাঙ্গে রক্ত বের হলে ভয় পেয়ে যায় ধর্ষক। তাই শ্বাসরোধ করে বর্ষাকে হত্যা করে বস্তায় ভরে পাশের নালায় ফেলে দেয়। ওই দিনই বিকেল সাড়ে চারটায় নিখোঁজ হওয়ার ঘণ্টা দেড় ঘণ্টার মধ্যেই এসব কাজ সংঘটিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল মরদেহ উদ্ধারের পর সন্দেহজনকভাবে বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরমধ্যে রাতে মুদির দোকানের কর্মচারি লক্ষ্মণকেও আটক করে থানায় আনা হয়। রাতভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শুক্রবার সকালে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে নেয় দোকান কর্মচারি লক্ষ্মণ দাশ।’

এর আগে গত মঙ্গলবার(২৫ অক্টোবর) বিকেলে চিপস কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল মারজান হক বর্ষা নামে সাত বছরের শিশুটি। তিন দিন পর বৃহস্পতিবার জামালখানের শিকদার হোটেলের পাশের গলিতে বড় নালা থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয়। সে স্থানীয় কুসুমকুমারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই এলাকাতেই পরিবারের সঙ্গে থাকতো বর্ষা। তার বাবা আব্দুল হক, মা ঝর্ণা বেগম। তাদের ছয় মেয়ের মধ্যে সবার ছোট বর্ষা।

বর্ষার বড় বোন রুবি জানিয়েছিল, সোমবার বিকালে শিকদার হোটেলের পাশের গলির শাওন ভবনের নিচতলার বাসা থেকে চিপস কিনতে বেরিয়েছিল বর্ষা। এরপর থেকে আর তার খোঁজ না পেয়ে কোতোয়ালী থানায় মঙ্গলবার সাধারণ ডায়েরি করেছিল পরিবার। ওইদিন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবের মধ্যেও পুরো এলাকাজুড়ে মাইকিং করা হয়েছিল। এরপরও কোন হদিস মিলেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকালে ওই এলাকার একটি নালায় বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহটি নালা থেকে তুলে আনে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

আবারো এস আলমে আগুন 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের পর এবার তেলের মিলে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের...

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার চেষ্টার সময় গুলি বিনিময়

সময় ডেস্ক সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। দুই...

শেষ ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

সময় স্পোর্টস ডেস্ক সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে...

নারী দিবসে নারী কর্মীদের সম্মান জানিয়ে এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছেন নারী কর্মীরা

সময় ডেস্ক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন নারীরা। রাজধানীর শাহজালাল...