কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল কর্তৃক দেবীদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে কিল-ঘুষি মারার ঘটনার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন। বিচার না হলে উপজেলা চেয়ারম্যান–ভাইস চেয়ারম্যানরা একযোগে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার (২৩ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি হারুন-অর রশীদ হাওলাদার এ ঘোষণা দেন।
হারুন-অর রশীদ বলেন, “২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। রাজি মোহাম্মদ ফখরুলের আচরণের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, নারী ভাইস চেয়ারম্যানরা ঢাকায় সমাবেশ করবেন। তারপরও যদি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তাহলে সব উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, নারী ভাইস চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রী ও নিজ নিজ এলাকার জনগণকে অবহিত করে একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।”
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, “এ ঘটনা নজিরবিহীন। এ ঘটনা সরকারকেও বিব্রত করেছে। এ ঘটনা দেশের ৪৯২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সব জনপ্রতিনিধিদের আহত করেছে। রাজি মোহাম্মদ ফখরুল ও আবুল কালাম আজাদ উভয়ই আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আবুল কালাম ইতিমধ্যে সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বরাবর আবেদন করেছেন।”
১৬ জুলাই বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা হয়। সভার একপর্যায়ে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য রাজি মোহাম্মদ ফখরুল দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে কিলঘুষি মারেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খান বীরু উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, নারী ভাইস চেয়ারম্যানসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, জেলার নেতারা।