মোঃ এনামুল হক, মোংলা প্রতিনিধি।
খুলনা-মোংলা রেল লাইন প্রজেক্টের চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ দুইজনকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। মোংলার দিগরাজ বাজার সংলগ্ন বিদ্যারবাহন এলাকায় চলমান রেল লাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত ১৫ ধরণের মালামাল ও যন্ত্রপাতি চুরি হয় বুধবার। ৯ লাখ ২৩ হাজার ৬৫০ টাকা মূল্যের রেলের এ মূল্যবান মালামাল চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মোংলা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন খুলনা-মোংলা রেল লাইন প্রজেক্টের জুনিয়র ইন্জিনিয়ার মোঃ মনিরুল ইসলাম।
এরপর পুলিশ গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিগরাজ-বিদ্যারবাহন এলাকার রেল লাইন সংলগ্ন জাহাঙ্গীর মোল্লার (৩৫) বাড়ীতে অভিযান চালায়। এ সময় অভিযানকারীরা জাহাঙ্গীরের বাড়ীসহ আশপাশ এলাকায় মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা রেলের চুরিকৃত ওই মালামাল উদ্ধার করেন। অভিযানে আটক জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী মুক্ত শেখ (২২) রেলের এই মালামাল চুরির ঘটনার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। আটক জাহাঙ্গীর মোল্লা বিদ্যারবাহন গ্রামের মৃত আঃ আজিজ মোল্লার ছেলে আর মুক্ত শেখ পার্শ্ববর্তী রামপাল উপজেলার হুড়কা গ্রামের আবুল কালাম শেখের ছেলে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিদ্যারবাহন এলাকায় চলমান রেল লাইনের কাজের বিভিন্ন ধরণের বিপুল পরিমাণ মালামাল চুরির ঘটনায় প্রজেক্টের জুনিয়র ইন্জিনিয়ার মোঃ মনিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের সাথে সাথে পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক জাহাঙ্গীরের বাড়ী ও আশপাশে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা চুরিকৃত মালামালের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মালই ৬ ঘন্টা ধরে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বাকী মাল উদ্ধার ও এ চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যের সনাক্তসহ গ্রেফতারে ব্যাপক তৎপরতা চলছে। এদিকে রেলের এ মালামাল চুরির ঘটনায় জড়িত আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ১৫ কিঃ মিঃ এর এ রেল লাইন প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়। এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভারতের ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিঃ।