পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২০ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় এ সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানো হয়েছে।
বুধবার (৮ জুন) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এ জন্য আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
অপর আসামিরা হলেন ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। ডিআইজি মিজান কারাগারে রয়েছেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান পলাতক। তার ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান জামিনে আছেন।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর একই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।