২০০০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত বাঘ সমৃদ্ধ ১৩টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণকে বেগবান করার জন্য এক ঘোষণা পত্র তৈরি হয়। সেই ঘোষনা পত্রের আলোকে প্রতিবছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হচ্ছে। বাঘ রয়েছে বিশ্বের এমন ১৩টি দেশ হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও রাশিয়া।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে,বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করায় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সচেতনতা সৃষ্টির কারণে গত দুই বছরে লোকালয় ঢুকলেও জনতা বাঘ হত্যা করেনি বলে দাবি করেছে বনবিভাগ।
তবে ‘বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের ঘনত্ব’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা এখন মাত্র ১০৬টি। এর আগে ২০০৪ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সহায়তায় বনবিভাগ বাঘের পায়ের ছাপ গুণে জরিপ করে বলেছিল, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি। ২০১৩ সালে ‘ক্যামেরা ট্যাপিং’ পদ্ধতিতে সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরুর পর ওই জরিপ কিছুটা ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে প্রশ্ন ওঠে। বাঘ শুমারির চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ মিলে ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের সুন্দরবনে মোট বাঘের সংখ্যা ১৭০টি। বাঘ রক্ষার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে সরকার অথচ সুন্দরবনের বাঘের কান্না শোনার কেউ নাই।
আজ বিশ্ব বাঘ দিবস।
Date:
Share post: