ডেস্ক নিউজ: সপ্তম ধাপে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ১৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট গ্রহণ চলছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটায় শীত উপেক্ষা করে ভোটারা কেন্দ্র আসতে শুরু করেন। একটানা ভোট চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সাতকানিয়ার চরতী, খাগরিয়া, নলুয়া, কাঞ্চনা, আমিলাইশ, মার্দাশা, ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরানগড়, ছদাহা, সাতকানিয়া, সোনাকানিয়া, কেঁওচিয়া ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে।
এসব ইউনিয়নে সর্বমোট ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৩ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৫০৫ জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৮ জন। নির্বাচনে ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের ৬৭১টি বুথে ভোট প্রয়োগ করছেন ভোটাররা। ঝুঁকি বিবেচনায় ৪৭ টি কেন্দ্রেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ৬৮টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ১০টি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে হিসেবে ধরা হয়েছে।
এখানে চেয়ারম্যান পদে ৩৮ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এরই মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতা প্রার্থী না থাকায় পুরানগড়, কেঁওচিয়া, সাতকানিয়া সদর ও মার্দাশা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এসব ইউনিয়নে সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে বাজালিয়া, ধর্মপুর, খাগরিয়া, সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এসব ইউনিয়নে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় সংঘর্ষ, এমনকি প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
অপরদিকে কাঞ্চনা এবং চরতি ইউনিয়নকে ছোটকাট সংঘাতপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই ছয় ইউনিয়নে ৫৫টি ভোট কেন্দ্রে রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অন্যান্য বারের মতো সকালে প্রতিটি কেন্দ্র ব্যালট পেপার পোঁছে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।