চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। কিন্তু এই হার না মেনে নির্বাচনের পরদিন নিপুণ আপিল বোর্ডে লিখিত আবেদন করেন পুনরায় ভোট গণনার জন্য। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। কারণ, পুনরায় ভোট গণনার পর আপিল বোর্ড থেকে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফল সঠিক আছে।
তার পরও নিজের পরাজয় নিয়ে সন্দেহ যায়নি নিপুণের। তার অভিযোগ, জায়েদ খান টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন, নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছেন। অভিনেত্রী একই অভিযোগ তোলেন জায়েদদের প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয় পাওয়া চুন্নুর বিরুদ্ধেও। এরপর নিপুণ ও তার প্যানেল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন এই দুটি পদে ফের নির্বাচন দেওয়ার জন্য।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। কিন্তু এই হার না মেনে নির্বাচনের পরদিন নিপুণ আপিল বোর্ডে লিখিত আবেদন করেন পুনরায় ভোট গণনার জন্য। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। কারণ, পুনরায় ভোট গণনার পর আপিল বোর্ড থেকে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফল সঠিক আছে।
তার পরও নিজের পরাজয় নিয়ে সন্দেহ যায়নি নিপুণের। তার অভিযোগ, জায়েদ খান টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন, নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছেন। অভিনেত্রী একই অভিযোগ তোলেন জায়েদদের প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয় পাওয়া চুন্নুর বিরুদ্ধেও। এরপর নিপুণ ও তার প্যানেল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন এই দুটি পদে ফের নির্বাচন দেওয়ার জন্য।
সেই অভিযোগ ও আবেদন আমলে নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা চান এবারের নির্বাচনে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে তিনি এই দিকনির্দেশনা চান।
সেই চিঠি পাওয়ার পর বুধবার ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রকনুল হক সাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে নির্বাচনের আপিল বোর্ড চূড়ান্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ আপিল বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
সমাজসেবা কার্যালয় থেকে এমন চিঠি পাওয়ার পর আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান জানান, বাদী নিপুণ এবং বিবাদী জায়েদ খান ও চুন্নুকে নিয়ে আজ শনিবার বিকালে তারা এফডিসিতে বসবেন। এরপর দুই পক্ষের কথা শুনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ক্ষেত্রে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে বলে জানান তিনি।
ফলে এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, সাধারণ সম্পাদকের পদ হারাতে পারেন জায়েদ খান। যদিও এ ঘটনায় খুশি হতে পারেননি টানা তৃতীয়বার জয় পাওয়া এই অভিনেতা। তার দাবি, ‘নিপুণের আবেদনের পর আপিল বোর্ড পুণরায় ভোট গণনা করে দেখেছে ফলাফল ঠিক আছে। আমিই জিতেছি। নিপুণ তার পরাজয় মেনে নিয়ে স্বাক্ষরও করেছেন। তাই নির্ধারিত সময়ের পরে কোনো আবেদন মন্ত্রণালয়ে যেতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়া।’
তবে খুশি নিপুণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের অভিযোগ আমলেই নেয়নি। বাধ্য হয়ে মন্ত্রণালয়ে যাই। ডকুমেন্টসহ যে অভিযোগগুলো আমরা দিয়েছিলাম, তাতে পুরো নির্বাচনের ফলই বাতিল হওয়ার কথা বলেছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমরা বলেছি, যে দুই পদ নিয়ে অভিযোগ, ওই দুই পদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। পরে অভিযোগের ডকুমেন্টগুলো দেখে ওই দুজনের ব্যাপারে আপিল বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।’
কাজেই, আপাতত আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে জায়েদ-নিপুণ দুজনেই। আজই জানা যাবে জায়েদ খান ও চুন্নু তাদের পদে বহাল থাকবেন, নাকি ওই দুই পদে আবার নির্বাচন হবে। যদি তাই হয়, তবে জায়েদের সঙ্গে লড়াইয়ে একধাপ এগিয়ে যাবেন নিপুণ। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা জানতে কিছু সময়ের অপেক্ষা। অপেক্ষায় জায়েদ-নিপুণও।
শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। একটি মিশা-জায়েদ প্যানেল, অন্যটি ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল। সেখানে দুইবারের সভাপতি মিশা সওদাগরকে হারিয়ে নতুন সভাপতি হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে টানা তৃতীয়বার জয়ী হন জায়েদ খান। এবার কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে ১০ জন এবং মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে ১১ জন নির্বাচিত হয়েছেন।