ডেস্ক নিউজ: করোনায় পিছিয়ে গিয়েছে এক বছর। এবারো যে হবে তা নিয়ে ছিল নানা অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত পর্দা উঠল ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের’ এবারের আসরের। জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটায় দর্শকহীন গ্যালারির সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
দর্শকহীন গ্যালারির সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের’ এবারের আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সাদা ও নীল আতশবাজির ঝলকানিতে বর্ণিল হয়ে উঠেছে টোকিওর আকাশ।
শুক্রবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাতে গোনা অতিথি ছিলেন, প্রধান অতিথি জাপানের সম্রাট নারুহিতো, ছিলেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরু হয় অ্যাথলেটদের প্যারেড দিয়ে। সবার আগে স্টেডিয়ামে আসেন গ্রিসের অ্যাথলেটরা। এরপর অলিম্পিক কমিটির শরনার্থী দল। তারপর ইংরেজি অদ্যাক্ষর ‘আই’ দিয়ে শুরু হওয়া দুই দেশ আইসল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে। যা শেষ হলে করোনায় বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারানো মানুষদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়।
এরআগে ভার্চুয়ালি অলিম্পিক লরেল নামের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের নোবেল পদকজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য বিশেষ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। পাঁচ বছর আগে ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননা দেওয়া শুরু করে আইওসি। ২০০৬ সালে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র্য কমানোর স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল পান ইউনূস।
১১ হাজারের বেশি অ্যাথলেট অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় নামছেন। এরই মধ্যে গেমস ভিলেজে ঢুকে পড়েছে করোনা। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০৬। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই আয়োজন শেষ করতে বদ্ধপরিকর আয়োজক কমিটি।
গত বছর হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জন্যই পিছিয়ে যায় অলিম্পিক। ঠিক এক বছর পর শুক্রবার পর্দা উঠলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ ক্রীড়াযজ্ঞের। এরআগেই অবশ্য কয়েকটি ইভেন্টের খেলা শুরু হয়েছে।