ডেস্ক নিউজ: গত ১১ জুলাই দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড অতিক্রম করে নতুন ভাবে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে করোনায় এক দিনে এত মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ।
অন্যদিকে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ২৩১ জনের শরীরে। এটি এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এর আগে গত ১২ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণ নিয়ে। এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মোট মৃত্যু ছাড়িয়ে গেল ১৮ হাজার। শেষ পাঁচ দিনেই করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৭৩ জনের।
এর আগে, রোববার ২২৫ ও শনিবার ২০৪ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার ১৮৭ জন মারা যান। এর আগে, বৃহস্পতিবার ২২৬, বুধবার ২১০, মঙ্গলবার ২০৩, সোমবার ২২০ ও রোববার (১১ জুলাই) সর্বোচ্চ ২৩০ জন মারা যান। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩৬ জন পুরুষ এবং ৯৫ জন নারী। এদের মধ্যে ১৮ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫৫০ জন এবং নারী ৫ হাজার ৫৭৫ জন।
বিভাগভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের মতোই সর্বোচ্চ ৭৩ জন মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিভাগে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগে ও চতুর্থ সর্বোচ্চ ১৭ জন মারা গেছেন রংপুর বিভাগে।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন, সিলেট বিভাগে আট জন ও বরিশাল বিভাগে ছয় জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩৯ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৩, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৩, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৯, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৩ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৫১ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ হাজার ১২টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৭টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩২১ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩১০ জনে।