ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিই চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল করোনায় এক দিনে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যুর রেকর্ড ছিল চট্টগ্রামে। আর চট্টগ্রামে করোনায় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আজ জানানো হলো।
এদিকে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০৯ জন।
এর আগে ৯ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে জেলায় সর্বোচ্চ ৭৮৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের বিষ শনাক্ত হয়েছিল।
আজ রবিবার (১১ জুলাই ) ভোররাতে চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় জেলার নগর ও উপজেলায় মিলে নতুন করে আরো ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনের সংখ্যা ছিল ৩ জন।
জেলা সিভিল সার্জন বলেন, কক্সবাজার হাসপাতাল ল্যাব ও চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টসহ গত ২৪ ঘন্টায় মোট ২ হাজার ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৪১৬ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ২৯৩ জন রয়েছেন।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৮ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৫০ হাজার ১শ ৩৪ জন। আর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৪ হাজার ৮শ ৭৪ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে যে ১৪ জন মারা গেছে তাদের মধ্যে সাতজন চট্টগ্রাম নগরের এবং বাকি ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ৭৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯৭ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ২৭৪ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা পর্যায়ে যারা আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সর্বোচ্চ সীতাকুণ্ডের ৫৪ জন, হাটহাজারীর ৪৮ জন, মিরসরাইতে ৩৩ জন, চন্দনাইশে ২৯ জন,ফটিকছড়িতে ২৩ জন, রাউজানে ১৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১৮ জন, সন্দ্বীপে ১৬ জন, সাতকানিয়ায় ১৫ জন, পটিয়ায় ১৪ জন, বোয়ালখালী ১১ জন, বাঁশখালীতে ০৮ জন, লোহাগাড়ায় ০৪ জন ও আনোয়ারায় ০১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১৭৬ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৪২ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।
এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। একই সময়ে চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ল্যাবে ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এন্টিজেন টেস্ট এ ২২৪ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এদিন মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৬ জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
এছাড়া শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৫৩ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এদিন ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৩৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
