ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রামের গৃহ ও ভূমিহীন ৬৪৯টি পরিবারের মাঝে (২য় পর্যায়ে) জসিমহ ঘরের মালিকানা হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১৭জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আগামী (২০ জুন) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের ৫৩ হাজার ৩৪০ টি পরিবারের মাধ্যমে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এই প্রকল্পের সাথে দুই শতাংশ জমিও প্রদান করা হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের গৃহ ও ভূমিহীন মানুষ এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, মুজিবশতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না এমন পরিকল্পনায় দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে সরকার। অনেকের জমি আছে, কিন্তু ঘর করতে পারছেন না। তাদের সরকারের তরফ থেতে ঘর তৈরী করে দেওয়া হবে। যাদের ঘর আছে, সেটি বসবাসযোগ্য নয়। তেমন ঘরও সরকার মেরামতের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। কেউ গৃহহীন থাকবে না।
জেলা প্রশাসক এসময় চট্টগ্রামে পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের বিষয়ে কথা বলেন।তিনি বলেন, অনেকে কর্মের সন্ধানে চট্টগ্রামে এসে বসবাস করছেন। এর মধ্যে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষ এখানে বসতি গড়ে তুলেছে। এরা ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছেন। সরকার এদের নিজ নিজ এলাকায় স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সে সঙ্গে কর্মের ব্যবস্থার করে দিবে।
২য় পর্যায়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৫০টি, পটিয়া উপজেলায় ৩০টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ২৭টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ১০টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ১৫০টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১৪টি, কর্ণফুলী উপজেলায় ০৫টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ২০ টি, রাউজান উপজেলায় ২৪৮টি, হাটহাজারী উপজেলায় ১০টি, আনোয়ারা উপজেলায় ৫০টি, মীরসরাই উপজেলায় ২৫টি, সীতাকুণ্ড উপজেলায় ১০টিসহ সর্বমোট ৬৪৯ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার।
উল্লেখ্য, ১ম পর্যায়ে চট্টগ্রামের এক হাজার ৪৪৪ টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে জসিমহ ঘরের মালিকানা হস্তান্তর করেছে সরকার।