এম.জুবাইদ,
পেকুয়া(কক্সবাজার)
করোনার সংক্রমণ রোধে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারের পেকুয়ায়ও শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন । আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এ লকডাউন।
এদিকে সকাল থেকে পেকুয়ার বিভিন্ন সড়কে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাছেম বিল্যাহ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক ও রেডক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ৫ জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
সড়কে প্রয়োজনীয় পরিবহন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল এবং নৌকা পারাপারসহ বাজারের বিভিন্ন শপিং মল বন্ধ রয়েছে পাশাপাশি বাজার মুখিলোকজনের সংখ্যাও অনেক কম ।
পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তৎপর রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞেসা করা হচ্ছে।
যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সাথে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ দফায় সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, ‘অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ,কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়েনে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ সময় ইউ এনও মোতাছেম বিল্যাহ বলেন, অনুগ্রহ করে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করুন। এ আইন আমান্যকারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।