এনামুল হক রাশেদী,
বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, “বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবাধিকার দলিল নবী মুহাম্মদ মোস্তফা (স.) বিদায় হজের ভাষণ। দেড় হাজার বছর আগে দেওয়া এ ভাষণে মানবতার মুক্তির এমন কোনো দিক নেই, যার ছোঁয়া এ মূল্যবান ভাষণে লাগেনি।
এ ভাষণে নারীর অধিকার সম্পর্কে রাসুল (স.) যে তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন ইতিহাসে যার কোনো তুলনা নেই। নারীর উপর পুরুষের এবং পুরুষের উপর নারীর হকের কথা বলা হয়েছে। নারীদের কীভাবে সম্মান করতে হবে তার নির্দেশনা রয়েছে।”
১৯ মার্চ’২১ ইং, শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়িতে মাইজভান্ডারী দর্শন শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পাঠিয়ালছড়ির ‘শোকর এ মওলা’ মঞ্জিলে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি, হারুয়ালছড়ি শাখা আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী গবেষক ও তাত্তিক বিশ্লেষক শাহেদ আলী চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এস এম নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফ। প্রধান আলোচক ছিলেন শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ঢাকার বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নিজাম উদ্দিন জামি, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতকানিয়া জাফর আহমদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা মাইজভান্ডারী দর্শন ভিত্তিক ছাত্রসংগঠন জ্যেতি ফোরামের সভাপতি শফিউল আজিম সুমন।
ধর্মে ধর্মে বিভাজন কেন প্রশ্ন রেখে প্রধান অতিথি ড. ইফতেখার আরও বলেন, “ইসলাম সম্প্রীতির ধর্ম, সৌহাদ্যের ধর্ম। অহিংসার ধর্ম৷ মাইজভাণ্ডারী দর্শনের মূলমন্ত্র হচ্ছে মানুষকে মানুষের আসনে সমাসীন করা। কুরআনের নিযাস হচ্ছে তিন শব্দ। সেগুলো হলো-হালাল খাও, নামাজ পড়, আল্লাহ আল্লাহ জিকির কর। আর এই মহান বাণীটি হলো বিশ্বঅলী শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (ক.)।
সভাপতির বক্তব্যে মাইজভাণ্ডারী গবেষক শাহেদ আলী চৌধুরী বলেন, “মাইজভাণ্ডার হচ্ছে একটি মোহনা। এ মোহনায় এসে পৃথিবীর সব দর্শন মিশে গেছে। প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি শক্তি লাগবে। সেটি হচ্ছে অলি আল্লাহ। মুসলমান হচ্ছে মাহাত্ম্যপূর্ণ যার মধ্যে খোদার মাহাত্ম্য প্রকাশ। জ্ঞান হচ্ছে আলো। জ্ঞানীর সাথে সম্পর্ক না থাকায় আমরা আলো পাচ্ছি না। আমরা এমন এক ব্যক্তির কাছে যেতে হবে যার অন্ত দৃষ্টি আছে। আমরা ছিলাম কোথায়? আছি কোথায়? যাব কোথায়?এটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এজন্য আমাদেরকে অনুসন্ধিৎসু মন তৈরি করতে হবে। অহংকারী ব্যক্তি আল্লাহর আলো পাবে না। আর মাইজভাণ্ডারী দর্শন হচ্ছে কুরআনের নির্যাস।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. জামি বলেন, ” মাইজভাণ্ডারী দর্শনের আলো জালাচ্ছেন শাহেদ আলী চৌধুরী। তার বহুমাত্রিক গুণ আছে। ফলে আমাদেরকে পীরের কাছে যেতে হবে। কারণ পীরেরা আল্লাহ, রাসূলের পথ দেখান। নবুয়াত শেষ। এখন বেলায়েতে মোতলাকার যুগ। মাইজভাণ্ডারী তরিকা পৃথিবীর এমন একটি তরিকা যেটি বাংলার মাটিতে তৈরি হয়েছে। না বুঝে কোন কিছুর সমালোচনা করা যাবে না। আমাদের জানতে হবে, পড়তে হবে।”
মাহফিলে সেলাই মেশিন বিতরণ ও গৃহ নির্মাণ খাতে মোট ৪ জনকে অনুদান প্রদান করা হয়।
চট্টগ্রামে ‘মাইজভান্ডারী দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ডঃ ইফতেখার
Date:
Share post: