ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলীখেলা গত বছরের ন্যায় এবারও স্থগিত করেছে আয়োজক কমিটি। দেশব্যাপী আবারও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মেলা কমিটির পক্ষে সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী এ ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এ প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। করোনার কারণে গত বছরও স্থগিত করা হয়েছিল জব্বারের বলীখেলা।
জব্বারের বলীখেলা জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত। বলীখেলাকে কেন্দ্র করে লালদীঘি ময়দানের আশপাশে প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে বৈশাখী মেলার আয়োজন হয়। এটি বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকার সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলা।
বাংলা-বিহার-ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর এ দেশে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয়। এক সময় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়। শুরু হয় স্বদেশি আন্দোলন।
বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ এবং একইসঙ্গে বাঙালি যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলা এবং শক্তিমত্তা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের মনোবল বাড়ানোর প্রেরণা থেকেই চট্টগ্রামের বদরপতি এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর বলীখেলা বা কুস্তি প্রতিযোগিতার প্রবর্তন করেন।
১৯০৯ সালের ১২ বৈশাখ লালদীঘি ময়দানে এই বলীখেলার সূচনা করেন তিনি। ব্যতিক্রমধর্মী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য ব্রিটিশ সরকার আবদুল জব্বার মিয়াকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।