ডেস্ক নিউজ: মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
স্থায়ী সদস্য ব্রিটেনের আহ্বানে আগামী শুক্রবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এর মধ্যদিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকার আরও বেশি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। গ্রেফতার করা হয় স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে।
এক বছরের জন্য জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। কিন্তু নির্বাচিত সরকারের জায়গায় সেনা শাসন মেনে নিতে পারছে না দেশটির জনগণ।
এক মাসের বেশি সময় ধরে সর্বাত্মক বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তারা। বিপরীতে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতা ও ব্যাপক দমন-পীড়ন জোরদার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সেনা কর্তৃপক্ষকে চাপে রাখার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সহিংস আচরণ না করতে বারবার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে জাতিসংঘ। এবার দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ।
সামরিক অভ্যুত্থানের একদিন পরই মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হয়। তবে পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্য চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতার করায় জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংস্থাটি। এই অবস্থায় আবারও ডাকা হলো নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক।
রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও দুই মামলা করেছে সেনাবাহিনী। সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছিল তার সঙ্গে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ যোগ হয়েছে।
এ অভিযোগে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারে তার। বুধবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মিন্টের আইনজীবী খিন মং।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে এক সাক্ষাৎকারে মং বলেন, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধে নতুন আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। এবার তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ অভিযোগে মিয়ানমারে তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে। ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে অভ্যুত্থানের পরপরই সু চির পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট মিন্টকেও আটক করা হয়। প্রথমে তার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জারি করা বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।