ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রামের মিরসরাই, রাঙ্গুনিয়াসহ ২৯ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কাল (২৮ ফেব্রুয়ারি)। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
২৯ পৌরসভায় ভোট হবে সেগুলো- যশোরের কেশবপুর; ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর; চট্টগ্রামের মিরসরাই, বারইয়ারহাট ও রাঙ্গুনিয়া; কিশোরগঞ্জের ভৈরব; জামালপুরের সদর, মাদারগঞ্জ ও ইসলামপুর; ময়মনসিংহের নান্দাইল; মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, গাজীপুরের কালীগঞ্জ; রংপুরের হারাগাছ। এছাড়া রাজশাহীর দুর্গাপুর ও চারঘাট; চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল; বগুড়া সদর; জয়পুরহাট সদর; মাদারীপুর সদর ও শিবচর; ভোলার সদর ও চরফ্যাশন; হবিগঞ্জ সদর; চাঁদপুরের শাহরাস্তি ও মতলব; ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর; লক্ষ্মীপুরের রায়পুর এবং রংপুরের সৈয়দপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন ঝিনাইদহের শৈলকুপা, ফরিদপুরের মধুখালী, রাজশাহীর পবা ও কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনও হবে। আবার আগে অনুষ্ঠিত সাতটি পৌরসভায় বন্ধ ঘোষিত ভোটকেন্দ্রগুলোতে এবং মৃত্যুজনিত কারণে চট্টগ্রাম সিটির ৩১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে, ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভর ৬ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদেও ভোট হবে এদিন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটির ওই ওয়ার্ড ও শৈলকুপায় ভোট হবে ইভিএমে।
নির্বাচনে ৬২৫টি ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ২২৯ ভোটকক্ষে ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৬৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটের মাঠে রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের মোবাইল টিম ৯৭টি ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ২৯টি, র্যাবের ১০০টি মোবাইল টিম, প্রত্যেক পৌরসভায় ২ প্লাটুন বিজিবি আর উপকূলীয় পৌরসভা প্রতি কোস্টগার্ড ১ প্লাটুন।
ভোটের দিন প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে তিনজন পুলিশসহ ১১ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন পুলিশসহ ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।
নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ২৯১ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ২৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত রয়েছেন।
ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বলেছেন, আমরা আশা করি একটা ফ্রি, ফেয়ার, পার্টিসিপেটারি এবং উৎসবমুখর পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৯ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে নির্বাচনের জন্য ৩১ পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে ইসি। পরে অন্য ধাপ থেকে পঞ্চম ধাপে যুক্ত হয় সৈয়দপুর পৌরসভা। অপরদিকে উচ্চ আদালতের রায়ের কারণে যশোর পৌরসভার ভোট স্থগিত করা হয়। আইনি জটিলতায় শেষ মুহূর্তে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে ইসি। আর চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলরসহ সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান।