ডেস্ক নিউজ : বাংলা ভাষাভাষী বাঙালির মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার দিন একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে চট্টগ্রামবাসী।
করোনাকালে ব্যাপক জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধ থাকলেও শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিতির কমতি ছিল না। বরং সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে। সংগঠন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ দুই জনের শ্রদ্ধা নিবেদনের যে নির্দেশনা সিএমপি জারি করেছে, খোদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলরদেরই সেটা মানতে দেখা যায়নি।
রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর আগে শনিবার রাত ১১ টার পর থেকেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে লোকজন আসতে শুরু করে। বিভিন্ন সংগঠন, নানা শ্রেণীপেশার মানুষ স্লোগানে মুখর করে তোলে শহীদ মিনার এলাকা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী কাউন্সিলরদের নিয়ে শহীদ মিনারে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার।
প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলে শহীদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবারের একুশের ভোরে প্রভাতফেরিতে ব্যাপক জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
এদিকে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবে।
নগর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠন সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা সহকারে শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশে কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, জাসদ, উদীচীসহ নানা দল ও সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় লালদীঘি পাড়ের সিটি করপোরেশনের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।