ডেস্ক নিউজ: আজ শনিবার ‘কৃষিবিদ দিবস’। ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের আলোকে প্রতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতার আগে স্নাতক শেষ করে চাকরিতে যোগদানের সময় কৃষিবিদদের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হতো। ফলে স্বাধীনতার আগে থেকেই চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীদের মতো কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দেওয়ার দাবি ওঠে। এ সময় দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে মারা যান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মলয়। স্বাধীনতার পরও তাদের এ দাবি অব্যাহত থাকে। ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় কৃষিবিদদের দাবি মেনে নেন। ওই দিনই কৃষিবিদদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদমর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ওই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কৃষিবিদ দিবস পালন করছে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন।
আজ দুপুর আড়াইটায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। বিকেল পৌনে ৩টায় খামারবাড়ি থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৩টায় কেআইবিতে আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যায় আতশবাজি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া বর্ণাঢ্য আয়োজনে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে পালিত হবে দিবসটি। বাকৃবির উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের শুরুতে আজ সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু। এ ছাড়া ৬৪টি জেলা শাখায় ও দেশের বিভিন্ন নানা কর্মসূচি পালিত হবে।