এ আর রুহুল আমিন হাজারী
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে আট টায় চান্দিনা ও দাউদকান্দি থানা সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী জানান- ঘটনার বিষয়টি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে যাই, মৃত্যুর কারন রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওই দিকে বুধবার (১০ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১১টায় চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর এলাকার কওমী মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের বেডিং এর স্তুপের নিচ থেকে রায়হান হোসেন (১০) নামে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রায়হান ডুমুরিয়া গ্রামের অটো রিক্সা চালক মিজানুর রহমানের ছেলে।
পিতা মিজানুর রহমান জানান- বুধবার সকাল ১১টায় মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে দুপুর ১টায় মাদ্রাসায় চলে যায়। সন্ধ্যায় মাদ্রাসার থেকে ফোন করে জানায়, আমার ছেলে মাদ্রাসায় যায়নি। পরবর্তীতে আমরা বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা সহ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোজাখুঁজি শুরু করি। রাত সাড়ে ১০টার পর মাদ্রাসার একটি শিক্ষক আমার বড় ভাই মোস্তফা মিয়ার ফোনে কল করে আমাদেরকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। আমরা মাদ্রাসায় যাওয়ার পর ছাত্রদের বেডিং এর স্তুপের নিচে আমার ছেলের মরদেহ দেখান।
মাদ্রাসার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ক্বারী হারুনুর রশিদ জানান- সন্ধ্যায় আমরা হাজিরা ডাকার সময় রায়হানকে না পেয়ে খোঁজ নেই। তাকে না পেয়ে আমরা তার বাড়িতে খবর দেই। রাতে মাদ্রাসার ছাত্ররা ঘুমাতে যাওয়ার সময় বেডিং এর স্তুপ থেকে তাদের বেডিং নেওয়ার সময় ওই ছাত্রকে দেখে আমাদের ডেকে দেখান। কিন্তু কিভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে আমরা বলতে পারছি না।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- খবর পেয়ে আমরা রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশু ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিক্ষকসহ ৪জনকে আনা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ওই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।