এম.জুবাইদ
পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ
৫২ এর ভাষা আন্দোলনের বছর প্রতিষ্ঠিত হলেও ভাষা শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত শহীদ মিনার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ফলে ৭১ বছরেও শহীদ মিনার নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা জানতে পারছে না ভাষার সঠিক তাৎপর্য, জানাতে পারছে না ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা।
ঘনিয়ে আসছে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারি। এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। তবে প্রতিবারের মতো এবারও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সূচনা লগ্নে আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০২১ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আগে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের দাবি জানিয়ে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক পারভেজ উদ্দীন নিশান বলেন, আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ে নয় শুধু ইউনিয়নের কোন প্রান্তে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার নেই। এটি আমাদের জন্য যেমন লজ্জার, তেমন হতাশার। মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের দাবিতে ইতিপূর্বে অনেক লেখালেখি করেছি।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন,
১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে শহীদ মিনারের প্রয়োজন। শহীদ মিনারের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি। কিছু দিনের মধ্যে হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন,স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এ মগনামার মানুষ। তবে কেউ একটি শহীদ মিনার স্থাপন করেনি। আমি কিছু দিন আগে উদ্যোগ নিয়েছি। আমার নিজ অর্থায়নে মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করবো।
শহীদ মিনারে নির্মানের জোর দাবি জানিয়ে প্রাক্তন ছাত্র অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, শহীদ মিনারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। শহীদদের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মৃতিসৌধ শৈশব থেকেই তাদের দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে। মগনামা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার স্থাপন করা হলে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এটি দেখবে। পাঠ্যপুস্তক থেকে ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এর মাধ্যমেও তারা জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার আহমদ বলেন ১৯৫২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও গড়ে ওঠেনি শহীদ মিনার। বিষয়টি নিয়ে সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদসহ জন-প্রতিনিধিরা একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।