ডেস্ক নিউজ: তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২০ রানে পরাজিত করে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে চার ফিফটিতে ২৯৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় টাইগাররা। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় ১৭৭ রানে।
রান তাড়া করতে নেমে ফের ছন্নছাড়া ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজের প্রথম স্পেলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে শুরুর ধাক্কাটা দেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরে কিপটে বোলিংয়ে লাগামটা নিজেদের হাতেই রাখেন টাইগার অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
খানিক খরুচে বোলিং করলেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন এ ম্যাচ দিয়েই দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে পুরো সিরিজে ধারাবাহিক খেলা রভম্যান পাওয়েল রান পেয়েছেন আজও। সৌম্য সরকারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ৪৯ বলে ৪৭ রান করেন রভম্যান।
এনক্রুমাহ বোনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ রান। এর বাইরে রেয়মর রেইফার (২৭), জেসন মোহাম্মদরা (১৭) ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও অল্পেই থেমে গেছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৯ ওভারে ৫১ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। মোস্তাফিজ ৬ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
বাংলাদেশের অফস্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে ১০ ওভারে মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন মেহেদি মিরাজ। এছাড়া ১টি করে উইকেট গেছে তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকারের নামে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লে’টা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে টাইগাররা। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারালেও, স্কোরবোর্ড যোগ হয় ৫৩ রান। তবে এরপর কমতে থাকে রানের গতি। পরের ২০ ওভারে আসে মাত্র ৮৪ রান।
ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ৩৭ রান যোগ করে কাইল মায়ারসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন ৩০ বলে ২০ রান করা শান্ত।
দুই তরুণ ব্যর্থ হলেও, পরে চার অভিজ্ঞই তুলে নিয়েছেন নিজেদের ব্যক্তিগত ফিফটি। ইনিংসের শুরুতে বেশ সাবলীল ছিলেন তামিম। একপর্যায়ে তিনি মাত্র ২৭ বলে করেন ২৮ রান। এরপর যেন বন্দী হয়ে যান খোলসে। পঞ্চাশে যেতে খেলে ফেলেন ৭০টি বল।
তৃতীয় উইকেটে তামিম ও সাকিব মিলে যোগ করেন ৯৩ রান। জুটি বেঁধে ২ হাজার রানের মাইলফলক পূরণ করেছেন সাকিব ও তামিম। তাদের জুটি ভাঙে দলীয় ১৩১ রানে গিয়ে, তামিম ব্যক্তিগত ৬৪ রানে সাজঘরে ফিরেন। ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটিতে খেলা ৮০ বলের ইনিংসে ৩ চারের সঙ্গে ১ ছক্কা হাঁকান তিনি।
তামিম ফিরে যাওয়ার পর ৪৮তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। তিনি ৩ চারের মারে ফিফটি পূরণ করতে খেলেন ৭৮ বল। তামিমের সমান ৮০ বল খেলে সাকিব আউট হন ৫১ রান করে।
সাকিব-তামিম যেখানে করেন ধীরগতির ফিফটি, সেখানে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। ক্যারিয়ারের ৩৯তম ফিফটি করতে মুশফিক খেলেন ৪৭ বল। মাহমুদউল্লাহর ১৭তম ফিফটি আসে মাত্র ৪০ বলে। তাদের ব্যাটেই মূলত শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান পায় বাংলাদেশ।
মুশফিক সাজঘরে ফেরেন ৪৭তম ওভারে, খেলেন ৫৫ বলে ৬৪ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ৪ চারের সঙ্গে ২টি ছয়ের মার। তবে শেষপর্যন্ত খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৪ বলের ইনিংসে সমান ৩টি করে চার-ছয়ের মারে ৬৪ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এ ছাড়া সৌম্য সরকার ৮ বলে ৭ ও সাইফউদ্দিন ২ বলে ৫ রান করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন রেয়মন রেইফার ও আলঝারি জোসেফ।