ডেস্ক নিউজ:চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তালিকাভুক্ত আরও এক কিশোর কিশোর গ্যাং লিডার আটক। আসামির নাম মো. শরীফ ওরফে ডেকচি শরীফ।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডেকচি শরিফ সর্বশেষ গতকাল আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর গণসংযোগে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, মেয়র প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তিন নম্বর আসামি শরীফকে আমরা আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছি।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, নগর গোয়েন্দা পুলিশ শরীফকে গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করলে আমরা আদালতে সোপর্দ করেছি। লালখান বাজারে হামলার ঘটনায় আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি। রোববার রিমান্ড শুনানি হয়নি।
গ্রেফতার ডেকসি শরীফ লালখান বাজারের বাঘঘোনার এমআর সিদ্দিক গেইট এলাকার মো. রহিমের ছেলে। শরীফ বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী। তার অধীনে কিশোরদের বড় একটি গ্যাং আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম লালখান বাজারে গণসংযোগে যাওয়া আগ মুহুর্তে কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলাল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে আহতদের ছয় জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সংঘর্ষের কারণে রেজাউল করিম গণসংযোগে যাননি।
ওই ঘটনায় আবুল হাসনাত বেলালের পক্ষে মোহাম্মদ আলী এবং দিদারুল আলম মাসুমের পক্ষে মো. মাঈনুদ্দিন হাবিব বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার হওয়া শরীফ মোহাম্মদ আলী দায়ের করা মামলার তিন নম্বর আসামি।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল লালখান বাজারে যুবলীগ নেতা শরীফ আহমেদকে হত্যার মাধ্যমে আলোচনায় আসে শরীফ। ওই মামলার শরীফ প্রধান আসামি। লালখান বাজার এলাকার এই কিশোর গ্যাং লিডারের নামে নগরীর কোতোয়ালী, খুলশীসহ বিভিন্ন থানায় অর্ধ ডজন মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।