ডেস্ক নিউজ: রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেওয়া হলো দেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ২৬ ক্যাটাগরিতে ৩৩ জন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তথ্যসচিব খাজা মিয়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বক্তব্য রাখার পর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দাকে।
পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্য থেকে আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত সোহেল রানা তার বক্তব্যে তার ক্যারিয়ারের পিছনে অবদান থাকা সব প্রযোজক, পরিচালক, সাংবাদিক থেকে শুরু করে ক্যামেরাম্যান, মেকআপম্যানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, ‘এটি হয়ত আমার ৪৬ বছরের চলচ্চিত্র জীবনের শেষ পুরস্কার। আমি আবেগাপ্লুত, ঠিক কেন জানি না। তবে হয়তো আমাকে যে সম্মাননা জানানো হলো তা আমাকে আবেগী করেছে। চলচ্চিত্রের প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলাম বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে। আজকের পুরস্কারটিও তার হাত থেকে পেলে হয়ত আরও ভালো লাগত।’
তিনি প্রতিবছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্তদের ভিআইপি ঘোষণার দাবি জানান। একই সঙ্গে অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদেরকে ২ বছরের জন্য সিআইপি ঘোষণার দাবি করেন। সিআইপি মানে তিনি বলেন, কালচারালি ইমপোর্টেন পার্সন।
২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার যারা পাচ্ছেন শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (যুগ্ম): ন ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: নারী জীবন। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: যা ছিলো অন্ধকারে। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে: তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে: সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে: এম ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়)। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে: নারগিস আক্তার (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে: জাহিদ হাসান (সাপলুডু)। শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী (যুগ্ম) নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরীন আক্তার (যদি একদিন)। শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক: হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)।
শ্রেষ্ঠ গায়ক: মৃনাল কান্তি দাস (তুমি চাইয়া দেখো- শাটল ট্রেন)। শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যুগ্ম): মমতাজ বেগম (বাড়ির ওই পূর্বধারে- মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও ফাতিমা-তুয-যাহরা ঐশী (মায়া, মায়া রে- মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ গীতিকার (যুগ্ম): নির্মলেন্দু গুণ (ইস্টিশনে জন্ম আমার- কালো মেঘের ভেলা) ও ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (চল হে বন্ধু চল- মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ সুরকার (যুগ্ম): প্লাবন কোরেশী (বাড়ির ওই পূর্বধারে) ও সৈয়দ মো. তানভীর তারেক (আমার মায়ের আঁচল- মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: মাসুদ পথিক (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: মাহবুব উর রহমান (ন ডরাই)। শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)। শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: জুনায়েদ আহমদ হালিম (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক (যুগ্ম): মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বাসু ও মো. ফরিদ আহমেদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: সুমন কুমার সরকার (ন ডরাই)। শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ (ন ডরাই)। শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা: খোন্দকার সাজিয়া আফরিন (ফাগুন হাওয়ায়) এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান: মো. রাজু (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।