ডেস্ক নিউজ: আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ঘিরে চট্টগ্রাম মেট্রোপিলিটন পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহামম্দ তানভীর। ইতোমধ্যে থানা এলাকাসহ সবর্ত্র পুলিশের টহল, চেকটোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) সিএমপি’র কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর্ন্তজাতিক ম্যাচ নিয়ে নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতির কথা জানিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সিএমপি কমিশনার আরো বলেন, যেসব এলাকায় সহিংসতা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে আমরা সেসব এলাকার দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এলাকার চিহ্নিত. উঠতি সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাংদের বিষয়ে খবরাখবর নেয়া হচ্ছে। কেউ যদি সুষ্ঠু নিবার্চন পরিচালনায় বাধা হয়ে দাড়ায়, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে আমরা তাকে কঠোর হাতে দমন করবো্। কোনভাবেই তাকে ছাড় দেয়অ হবে না। সে যে দলেরই হোক না কেন।
অস্ত্র রাখার প্রসঙ্গে কমিশনার আরো বলেন, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী ২ হাজার ৪৭৭টি বৈধ অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্র কখন জমা দিতে হবে তা শিডিউল করে দিবে নির্বাচন কমিশন। এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে। আমরা নির্বাচনে কোন প্রকার বৈধ কিংবা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার চাই না।
প্রসঙ্গত গত ১২ জানুয়ারী ২৮ নাম্বার পাঠানটুলি ওর্য়াডের মগপুকুর পাড়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরের অনুসারীদের গুলিতে আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের অনুসারী বাবুল সর্দার নিহতের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি আজো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এবারের নির্বাচনে ৯ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন রাখার কথা জানিয়ে কমিশনার বলেন, নির্বাচনে কতজন ফোর্স প্রয়োজন হতে পারে এমন দিকনির্দেশনা নির্বাচন কমিশন দিয়ে থাকে। দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ফোর্স বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আমরা তা করবো। সাধারন পুলিশের পাশাপাশি ডিবি,কাউন্টার টেরোরিজম এবং সোয়াট টিমও দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থকবে।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) আমেনা বেগম ও অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন)এস এম মোস্তাক আহমদ, অতিরিক্ত কমিশনার(ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, ডিজিএফআই, এনএসআই সহ শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।