একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি এবার অর্ধশত পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও আমলা বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তারা নিজেদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি জানান দিচ্ছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে টানার পাশাপাশি নানা উপায়ে সাধারণ ভোটারদের মনোযোগ কাড়তে ব্যস্ত তারা। কিছু কিছু আসনে অনেককে কেন্দ্র থেকেই ইতোমধ্যে সবুজ সংকেতও দেয়া হয়েছে। যাতে তারা এলাকায় পরিচিত হওয়ার সুযোগ পান।
বিএনপির বিভিন্নসূত্রে জানা গেছে এসব পেশাজীবীদের অধিকাংশই এবার নমিনেশন পাবেন। সূত্র জানায়, ওয়ান ইলাভেন ও বর্তমান সরকারের নির্যাতনের সময় পেশাজীবীরা ছিলেন সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। পেশাজীবীদের এ ভূমিকার কারণে অন্যবারের চেয়ে এবার পেশাজীবীদের বেশি মনোনয়ন দেবে বিএনপি। তাছাড়া পেশাজীবী নেতাদের অনেকেই এখন দলের বিভিন্ন পদে রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমন অর্ধশত পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও আমলার নাম পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (বরগুনা-২), সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন (বরিশাল-৩, মুলাদী-বাবুগঞ্জ) ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন (নোয়াখালী-১, চাটখিল), জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ (কুমিল্লা -৫, বুড়িচং-ব্রাক্ষ্মণপাড়া), জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী (চট্টগ্রাম-২, ফটিকছড়ি), প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন (দিনাজপুর-৬, বিরামপুর-হাকিমপুর-নবাবগঞ্জ -ঘোড়াঘাট), প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু (গাজীপুর-৩, শ্রীপুর-সদর), প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু (পিরোজপুর), ডা. শাহদাত হোসেন (চট্টগ্রাম, বাকলিয়া), ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন (ত্রিশাল,ময়মনসিংহ), ইঞ্জিনিয়ার আফজালুর রহমান সবুজ (শরীয়তপুর-৩, ডামুড্যা-গোসারঘাট-ভেদরগঞ্জ), ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু (দিনাজপুর সদর), ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান (বরিশাল-১), ইঞ্জিনিয়ার মুনসেফ আলী (সুনামগঞ্জ-৫, ছাতক-ফোয়ারা বাজার), ডা. মহসিন জিল্লুর (চট্টগ্রাম-১৪, চন্দনাইশ-সাতকানিয়া), ডা. শাহদাত হোসেন (চট্টগ্রাম -৯, বাকলিয়া), কর্নেল (অব.) আব্দুল মজিদ (লক্ষ্মীপুর-২)।
ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু (ফেনি-৩, দাগুন ভুঁইয়া- সোনাগাজী), ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক (চাঁদপুর-৫ হাজিগঞ্জ-শাহরাস্তি), মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সভাপতি এম এ হান্নান (চাঁদপুর- ৪, ফরিদগঞ্জ), সাবেক আমলা ড. জালাল উদ্দিন ( চাঁদপুর-২, মতলব), সাবেক সচিব ও আইজিপি এওয়াইবিআই সিদ্দিকী (চট্টগ্রাম-৪, সীতাকুণ্ড), ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১, মিরসরাই), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. আখতার হোসেন ও ব্যবসায়ী রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৭, রাঙ্গুনিয়া), শিল্পপতি আবুল কালাম- চৈতি কালাম (কুমিল্লা -৯, লাকসাম), শিল্পপতি সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, (ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-১, নাসিরনগর), দৈনিক আমার দেশের পরিচালক শাকিল ওয়াহেদ সুমন (ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৪, কসবা- আখাউড়া), ব্যবসায়ী নেতা এস এম ফজলুল হক, ব্যারিস্টার মীর হেলাল ও ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা (চট্টগ্রাম-৫, হাটহাজারী)।
শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া (ঢাকা-৫, ডেমরা-যাত্রাবাড়ী), ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (নেত্রকোনা-১, কমলকান্দা-দূর্গাপুর), ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম (ঢাকা-১০, ধানমন্ডি), ব্যবসায়ী তাবিথ আউয়াল (ঢাকা-১৫, কাফরুল), তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান (সিলেট-১, সদর), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. এবি ওবায়েদ ইসলাম (বাগেরহাট -৪), কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী-৪, সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ),সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিনের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, (পঞ্চগড়-২, বোদা-দেবীগঞ্জ), ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-৩, ঘাটাইল), এম সাইফুল ইসলাম (মুন্সীগঞ্জ-৩, সদর-গজারিয়া), অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া (নরসিংদী-৩, শিবপুর), সাবেক সচিব ও আইজিপি আব্দুল কাইউম (জামালপুর -১), সাবেক সচিব আবদুল হালিম (জামালপুর -২), সাবেক সচিব ব্যারিস্টার হায়দার আলী (শেরপুর -২), অ্যাডভোকেট আফজাল এইচ খান (ময়মনসিংহ-১, হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) ও অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার (বরিশাল সদর),ব্যারিস্টার শাহজান ওমর বীর উত্তম (ঝালকাঠি-১), প্রফেসর ডাঃ রফিক চৌধুরী ( সুনামগঞ্জ -১,ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ- তাহিরপুর), ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান (টাঙ্গাইল -৪, কালিহাতি), জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী (ঢাকা-১৭,গুলশান -ক্যান্টনমেন্ট)।