
সংবিধান সংশোধনের প্রশ্নে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় বিরোধী দলগুলো একতরফাভাবে একটি গণভোটের আয়োজন করেছে, যাতে লোকজন ভোট দিয়ে তাদের মতামত জানাচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দল সংবিধান সংশোধনের জন্য নতুন একটি সংসদ গঠন করতে পারে কি না, সেই ব্যাপারে জনমত যাচাই করাই এই বেআইনি গণভোটের উদ্দেশ্য।
লক্ষ লক্ষ মানুষ গণভোটে এই বিষয়ে তাদের রায় দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এমন এক সময় এই গণভোট হচ্ছে যখন ভেনেজুয়েলা এক গভীর রাজনৈতিক সংকটে পতিত।
দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাতে থাকা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পরিকল্পনা অনুযায়ী, এমাসের শেষ দিকে একটি জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন হবার কথা।
এ উদ্যোগের বিরুদ্ধেই রোববারের গণভোট – যাতে ভোটারদের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়েছে যে তারা আসলেই একটি নতুন সংবিধান চান কিনা।
এ নির্বাচন অবশ্য পুরোপুরিই প্রতীকী। বিরোধী দল বলছে, এটার মাধ্যমে তারা জনগণের মতামত নিচ্ছে যে সরকারকে আসলেই সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে দেয়া যায় কিনা। তবে সরকার এটিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। তারা চাইছে একটি নতুন সংবিধান এবং মি. মাদুরোর মতে দেশকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে টেনে তোলার এটাই একমাত্র উপায়। কিন্তু এ পরিকল্পনা লক্ষ লক্ষ ভেনেজুয়েলানের মধ্যে ক্রোধ সৃষ্টি করেছে।
বিরোধী দলগুলো বলছে, এটা অগণতান্ত্রিক এবং মি মাদুরো আসলে তার ক্ষমতা সংহত করার জন্যই এটা করতে চাচ্ছেন।
এ গণভোট পর্যবেক্ষণ করার জন্য শনিবার বেশ কয়েকজন সাবেক লাতিন আমেরিকান নেতা রাজধানী কারাকাসে এসেছেন।
যেসব ভেনেজুয়েলান বিদেশে থাকেন তারাও ভোট দিতে পারবেন। যদিও এটা কোন সরকারি গণভোট নয়, কিন্তু এটা জনগণের নজর কেড়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই ভেনেজুয়েলায় প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে, নিহত হয়েছে প্রায় ১০০, প্রায় দেড় হাজার লোক আহত হয়েছে।
বিরোধী দলগুলো চাচ্ছে যে কোন উপায়ে হোক সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে।