স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে বিভিন্ন ল্যাবে ৩ হাজার ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাতে আরও ৮৮৬ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জন হয়েছে।
সর্বশেষ এক দিনে এর চেয়ে কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল গত ২৬ এপ্রিল। সেদিন ৩ হাজার ৪৭৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল।
আর এক দিনে রোববারের চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ ১৬ মে, সেদিন ৯৩০ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে; এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৫৪ জনে।
আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫৮৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা রোববার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।
আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১৭ জুলাই তা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনে রেকর্ড ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।