চট্টগ্রামের শিল্পপতি মরহুম এম এ সালামের পুত্রের গলিত লাশ উদ্ধার।

নিজ ফ্ল্যাট থেকে প্রয়াত শিল্পপতি এম এ সালামের ছেলে তারেক সালাম বাবলুর (৪৫) গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের খালাতো ভাই।
বুধবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর হালিশহর থানার মুহুরীপাড়া এলাকায় বাসা থেকে তারেকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারেকের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি হালিশহর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান।
তারেকের মৃত্যুর খবর শুনে ওই বাসায় ছুটে যান প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
ওসি জানান, হালিশহরে জেলা পুলিশ লাইনের পাশে সায়ম্যা ভ্যালি অ্যাপার্টমেন্টের নবম তলায় ৮/সি ফ্ল্যাটে থাকতেন তারেক বাবলু। তার স্ত্রী এবং এক মেয়েও ওই বাসায় থাকতেন। চারদিন আগে স্ত্রী ও মেয়ে ঢাকায় যান। গত তিনদিন ধরে ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ ছিল।
ওসি আরও জানান, বিকেলে ওই ফ্ল্যাট থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে থানায় ফোন করে জানান অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা। এরপর পুলিশ গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পান, খাটের উপর মরদেহ পড়ে আছে।
ওসি জানান, তারেকের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফ্ল্যাটের ভেতরেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সেটি জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ওসি মাহফুজুর রহমান।
তবে নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারি কমিশনার এবিএম ফয়জুল ইসলাম বলেন, হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। পোস্টমর্টেমের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, কিভাবে কি হয়ে গেল বুঝতে পারছি না। পুলিশ বলছে হার্ট অ্যাটাকের কথা। তারপরও আমি ভালভাবে তদন্ত করতে বলেছি।
তারেক সালাম বাবলু তাদের পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করতেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তারেকের বাবা এম এ সালাম মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতিতে ছিলেন।
অভিজাত পরিবারের সন্তান তারেকের মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।