গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা শনাক্তে কার্যকর নয় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি আজ বুধবার দুপুরের গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বিএসএমএমইউর অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বাধীন পারফরম্যান্স কমিটি গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে।
গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউকে চিঠি দেয়। গত ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। বিএসএমএমইউর পরীক্ষায়ও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।
১৩ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র্যাপিড ডট ব্লট কিটের পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা ‘নেগেটিভ’ আসে। পরে পিসিআর পরীক্ষাতেও তাঁর করোনা নেগেটিভ এসেছে। তিনি এখন করোনামুক্ত। তবে এখন তিনি নিউমোনিয়ার জটিলতায় ভুগছেন। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের কেবিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।