করোনায় ফেসবুক লাইভে এসে কাঁদলেন শ্রীলেখা

    0
    193

    করোনাভারাস মানুষের জীবন একপ্রকার ছারখার করে দিয়েছে। ভারতেও এর প্রভাব পড়েছে। টানা ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। িদিনের সবজি, মাছ ইত্যাদি খাবারের কিছু দোকান খোলা থাকবে তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু মানুষ এতটাই তঙ্কিত যে একবারে অনেকটা করে খাবার কিনছে। আর তার জেরেই আবার অনেকে খাবার চ্ছেন না। এমন অবস্থা হয়েছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর। লাইভে এসে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী।

    দক্ষিণ কলকাতা শঙ্খমণি কমপ্লেক্সে থাকেন শ্রীলেখা। এখন সঙ্গে তার মেয়ে নেই বাড়িতে। কাজের মেয়ে ও পোষ্য় কুকুরদের নিয়ে রয়েছেন তিনি। বাজারে গিয়ে খাবার কেনা সম্ভব না। তাই যে ফোন নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করে খাবারের ্থা করা যাবে সেগুলোতেও ফোন করে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। সবসই সেগুলো ব্যস্ত।

    শ্রীলেখা বলছেন, জীবনে প্রথন দু’মুঠো চালের গুরুত্ব বুঝতে পারছি। আমি নিজেকে সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখি। তাই এখন রসালো রান্নাবান্নার ছবি দেখতে ভালো লাগছে না। সবাই খেতে ভালোবাসি আমরা। আমি ম্যাগি খেয়ে থাকছি। রোজ দু’বেলা ২০-২৩টা কুকুরকে খাওয়াচ্ছি। চালে টান ধরছে। আমার ভয় লাগছে যে আর ক’টাদিন ে আমি আমার কুকুর ছানাগুলোকে পর্যন্ত খাওয়াতে পারব কি-না।

    কাঁদতে কাঁদতে শ্রীলেখা বলেন, কুকুরগুলোকে খাওয়াব বলেই আমি দু’বেলা খাচ্ছি। ব্রেকফাস্ট করছি না। মনে মনে ভাবছি ডায়েট হচ্ছে। ১৪ বছর ধরে যে মাসি রয়েছেন আমি তাকে বাজারে পাঠাতে পারব না।

    এর পরে নাম না করে লোকসভার এক সাংসদকে কটাক্ষ করেন শ্রীলেখা। তিনি বলছেন, খাওয়াটা বেসিক। সেটাই অনেকে পান না। আর এই সময়ে মুখে মেক আপ করে ছবি, ওয়ার্কআউটের ছবি, আবার মুখে মাস্ক লাগিয়ে রয়েছি এসব ছবি দিচ্ছেন। আমাদের এক সাংসদ মুখে মাস্ক লাগিয়ে ছবি দিচ্ছেন। কিন্তু যাদের খাওয়ার টছে না তাদের কাছে একজন সাংসদ ও জন-নেতার থেকে এমন আচরণ চোখে লাগছে।

    শ্রীলেখা এর পরে জানান, তার আবাসনেও তাকে ক্রমাগত নিশানা করা হয় কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য। কেউ করে না।

    অভিনেত্রীর কথায়, আমায় সর্বক্ষণ বুলি করা হয়। কেউ কথা বলে না। ইচ্ছে করে টার্গেট করা হয়।

    সমস্তটা বলতে বলতে ভেঙে পড়েন শ্রীলেখা। শেষে বলেন, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ভাববেন না আমি সিম্প্যাথি চাইছি। আমি আবেগপ্রবণ মানুষ তাই কেঁদে ফেললাম। কিন্তু একটু মানবিক হোন সবাই।

    সব শেষে শ্রীলেখা যা বললেন তা বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে তার ভক্তদের। তিনি বলছেন, এমন অমানবিক হয়ে গিয়েছে মানুষ। আমার আর এই মানুষের মধ্যে থাকতেই ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে আর বাঁচতেই ইচ্ছে করে না এমন মানুষদের সঙ্গে।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here