কতদিন কপালে টিপ পরা হয়না
চুলে উঠেনা চিরুনি
ফিশ একুরিয়ামে মাছের লুকোচুরি খেলা,
যেতে পথে আর দেখিনা
কেমন আছো তুমি আমার শহর?
আমার প্রেসক্লাব আর
চেরাগীর মোড়?
বুকের ভেতরটা হুহু করে কাঁদছে
তোমাদের দেখতে শুধু এক নজর
প্রাণোচ্ছল শিল্পকলা আর বাতিঘরের আড্ডা
হাতছানি দিয়ে ডেকে ক্ষান্ত
কেউ তাাতে দিচ্ছে না সাড়া
মোহিনী শহরটা আজ ভুতুড়ে নগরী
কাঁদছে বুকে চেপে একাকীত্ব
অামার চারপাশ এখন অনেক ছোট
জানলার গ্রীলে থুতনি চেপে আকাশ দেখা
আর পাখিদের উড়াউড়ি
এই শহরে এত্তো পাখি আছে জানতাম না,
করোনা না এলে
কাঁদছি আমরা
কাঁদছে পৃথিবী
এইভাবে গৃহবন্দি আর কতদিন
সভ্যতার যাঁতাকলে
উচ্ছ্বল জীবনের ব্যস্ত
পৃথিবীটা থেমে গেল
কি এক মিথ্যে অভিশপ্ত যাদুর বলে
তবু আশায় দিন যায় দেখো,
একদিন আবার আমরা সবাই এক হবো
মাথার ছাউনি আকাশটার
একমাত্র হ্যাজাক লাইটটা
পূর্ণতায় ভরে আলোর বন্যা বইয়ে দেবে
হাজারো হ্যারিকেনের আলো
আকাশে মিট মিট করে জ্বলবে
আলমারিতে তোলা নতুন যে শাড়ীটার
গন্ধ শুঁকি রোজ
সেদিন সেই শাড়িটা পড়ে
শামিল হবো জনতার কাতারে
বলো তো কেমন হবে??
জানি অনেক দীর্ঘ হয়
অপেক্ষার প্রহর
তবু অপেক্ষায় আছি নতুন ভোরের
দেখবো জেগে উঠা শহর
চোখে চেপে জল আর হাহাকার
চেপে বুকে
বিশ্বাস এই পৃথিবী জেগে উঠবে অাবার
ভুগবে না অার কোন অসুখে
লেখাঃ-পুরবী দাশ