চট্টগ্রাম নগরীতে একটি স্কুল থেকে ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ঘটনার পর ফেসবুকে ল্যাপটপের ছবি সংযুক্ত করে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস দেখে চোর শনাক্ত করা হয় এবং পরে তাকেসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মৃণাল কান্তি মজুমদার।
গ্রেফতার তিনজন হল-জাকির হোসেন(৩১),নাহিয়ান উল হক খান(২৭)এবং মজিবুর রহমান(৩৫)।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, জাকির হোসেনকে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর আউটার স্টেডিয়াম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার তথ্য অনুযায়ী নাহিয়ানকে নগরীর নূর আহমদ সড়কে নাসিমন ভবনের পেছন থেকে এবং মজিবুরকে জুবিলি রোডের সিডিএ মার্কেটে তার দোকান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার লাভ লেইনে সরকারি ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল থেকে একটি ল্যাপটপ,একটি প্রজেক্টর ও একটি নোটপ্যাড চুরি হয়। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকা বদরুন নেছা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মৃণাল কান্তি মজুমদার সময় নিউজকে বলেন, জাকিরের বাসা ঐ স্কুলের পেছনে। তার বাবা বাবুর্চি। সে ও মাঝে মাঝে বাবুর্চির কাজ করে। নাহিয়ান তার বন্ধু। দুজন মিলে আউটার স্টেডিয়াম এলাকায় মাদক সেবন করে। আর জুবিলি রোডের সিডিএ মার্কেটের দোকানি মজিবুর নাহিয়ানের ঘনিষ্ঠ।
‘চুরির ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে প্রথমে আমরা একপ্রকার অন্ধকারেই ছিলাম। খোঁজখবর নেওয়ার একপর্যায়ে জানতে পারলাম, স্কুলের পেছনের বাসিন্দা এক যুবক ফেসবুকে একটি ল্যাপটপের ছবি আপলোড করেছে, তবে স্ট্যাটাসে কিছু লেখা নেই। শুধু নিজের ছবি আর ল্যাপটপের ছবি। ফেসবুক থেকে সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিণশট নিয়ে দেখলাম, সেটি এবং চুরি যাওয়া ল্যাপটপ দুটোই লেনোভো মডেলের। এরপর আমরা তাকে শনাক্ত করি এবং অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আটক করি।
এস আই মৃণাল আরো বলেন, জাকির চুরি করা ল্যাপটপ, প্রজেক্টর ও নোটপ্যাড বিক্রির জন্য দেয় নাহিয়ানকে। নাহিয়ান দেয় মজিবুরকে। এর আগেও একাধিকবার চুরির পর একইভাবে তারা মালামাল বিক্রি করেছে বলে জাকির ও নাহিয়ান জানিয়েছে।
মজিবুরের দোকান থেকে চোরাই ল্যাপটপ, নোটপ্যাড ও প্রজেক্টর উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।