২০১০ সালে ফিফায় এক ভোটাভুটিতে ২০২২ সালে কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার পাওয়া এবং ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ রাশিয়ায় যাওয়া নিয়ে সবচেয়ে নাখোশ হয়েছিলো যে দেশটি সেটি হলো ইংল্যান্ড।
ঐ ভোটের প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ ছিলো — তা নিয়ে ক্রমাগত সন্দেহ প্রকাশ করে গেছে ইংল্যান্ডের ফুটবল কর্তৃপক্ষ এফএ। অব্যাহত বিতর্কের মাঝে ২০১৪ সালে নৈতিকতা সম্পর্কিত ফিফার তদন্তকারী মাইকেল গার্সিয়া একটি তদন্ত করেন।
সেই তদন্তের পর সংক্ষিপ্ত আকারে যে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছিল তাতে বিশ্বকাপের বিডিংএ কাতার এবং রাশিয়ার মারাত্মক কোনো দুর্নীতির প্রমাণ দেখা যায়নি। কিন্তু মঙ্গলবার মি গার্সিয়ার পুরো রিপোর্টটি প্রকাশ হবার পর, বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছে ইংল্যান্ড। রাশিয়া বা কাতার নয়।
বিশ্বকাপের অধিকার পেতে ইংল্যান্ডের ফুটবল কর্তৃপক্ষ সেসময় কতগুলো কাজ করেছিলো যেগুলোকে গার্সিয়ার রিপোর্টে কার্যত দুর্নীতি হিসাবেই বিবেচনা করা হয়েছে।
বলা হয়েছে — ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বিডিংয়ে থাইল্যান্ডের সমর্থন পেতে ২০১০ এ ফিফায় ভোটাভুটির কদিন আগে থাইল্যান্ডকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় যে ইংল্যান্ড জাতীয় দল সেখানে প্রীতি ম্যাচ খেলতে যাবে। ফিফার তদন্তকারীদের কাছে সাবেক এফএ চেয়ারম্যান জেফ টমসন নিজে স্বীকার করেছেন – এ ধরনের প্রতিশ্রুতি ছিল উৎকোচ দেওয়া মতো।
রিপোর্টে বলা হয়েছে ফিফার তৎকালীন প্রভাবশালী এবং দুর্নীতিকে অভিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যাক ওয়ার্নারের অনুরোধে তার এক ব্যাংকারের ছেলেকে ইংল্যান্ডের শীর্ষ একটি ফুটবল ক্লাবে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল।
এমনকী এমন কথাও রিপোর্টে বলা আছে যে ভোট লেনদেনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল কর্তৃপক্ষের সাথে গোপন এক বৈঠক করেছিলেন এফএ কর্তারা যেখানে উপস্থিত তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং প্রিন্স উইলিয়াম।
ক্রীড়া বিশ্লেষক মিহির বোস বলছেন, ইংল্যান্ডের জন্য, ইংলিশ এফএর জন্য এই রিপোর্ট বড় ধরণের বিড়ম্বনা তৈরি করেছে। “ইংল্যান্ড সবসময় বলার চেষ্টা করে , তারা স্বচ্ছ, তাদের সততা সবার ওপরে, কিন্তু এ রিপোর্টের পর সবাই দেখবে ইংল্যান্ডও গোপনে অনৈতিক কাজ করেছে।
তিনি বলেন, এই রিপোর্টের পর ভবিষ্যতে বিশ্বকাপের জন্য বিডিং করাটাও ইংল্যান্ডের জন্য কঠিন হয়ে পড়তে পারে ইংল্যান্ডের জন্য।
হাতছাড়া হবে মারের উইম্বলডন শিরোপা?
উইম্বলডন টেনিসের কোয়ালিফাইং রাউন্ড চলছে। দুদিন বাদে তেসরা জুলাই থেকে লন্ডনে শুরু হবে গ্র্যান্ড স্লাম অব অল গ্র্যান্ড স্ল্যামস হিসাবে খ্যাত অর্থাৎ বিশ্বের লন টেনিসের সেরা আসরটি।
এবার উইম্বলডন শুরুর আগে প্রধানত দুটো প্রশ্ন টেনিস মহলে কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে – এ্যান্ডি মারে কি শিরোপা ধরে রাখতে পারবেন? আর সন্তানসম্ভবা সেরেনা উইলিয়ামসের অনুপস্থিতিতে মহিলাদের টুর্নামেন্ট নিয়ে আকর্ষণ নষ্ট হবে কিনা?
সর্বভারতীয় টেনিস ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল এবং বেঙ্গল টেনিস ফেডারেশনের চেয়ারম্যান হিরণ্ময় চ্যাটার্জি বলছেন চোট এবং সাম্প্রতিক পারফরমেন্স দেখে তিনি মনে করছেন ফেদেরোর বা রাফায়েল নাদাল এবার মারের শিরোপা কেড়ে নিতে পারেন।
শাকিল আনোয়ার, বিবিসি বাংলা