ভালোবাসার কোনো রীতিনীতি নেই, এ নিয়ে কোনো বইও নেই।
এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে জাপানের অসংখ্য পুরুষ সিলিকন রোমান্সের দিকে ঝুঁকছে ও এদের সংখ্যাটাও দিনে দিনে বাড়ছে।
প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় দুই হাজারের মতো ‘সেক্স ডল’ বিক্রি হয়, দাম অন্তত ছয় হাজার ডলার।
মানুষের তৈরি এসব সঙ্গীদের সাথে মানসিক বন্ধনও গড়ে তুলেছেন অনেক ক্রেতা।
জাপানের অনেক পুরুষ তাদের মানুষরূপী সঙ্গীদের নিয়ে অনেক খুশী এবং অনেকে বলছেন তারা আর কখনো কোনো মানুষের কাছে ফিরে যাবেন না।
৪৫ বছর বয়সী মাসায়ুকি ওজাকি বলছেন তাঁর সিলিকন পুতুলের প্রেমেই তিনি মগ্ন হয়ে থাকেন। এমনকি কর্মক্ষেত্রে যদি কোনো কিছু ভালো না যায়, বা দিনটা যদি ভালো নাও কাটে তাতেও ওই পুতুলের প্রতি তার ভালোবাসা কমে না।
“সে সবসময় জেগে আছে, আমার জন্য অপেক্ষায় আছে এটা মনে করে আমি নিরাপদ বোধ করি..”- বলেন মাসায়ুকি ওজাকি।
মাসায়ুকি তাঁর সঙ্গী পুতুলের নাম দিয়েছেন মায়ু।
“জাপানি মেয়েরা নির্মম হৃদয়ের, স্বার্থপর। পুরুষেরা চায় এমন কেউ তার পাশে থাকুক যে তার পাশে থাকুক, কাজ থেকেআসার পর যার সাথে সুন্দর সময় কাটানো যায় এমন কেউ। সেক্স ডলের সাথে আমি তেমনটা করতে পারি”।
“আমি ভাবতেই পারিনা আর কোনো মানুষের সাথে থাকার কথা। মায়ুকে নিয়ে আমি কবরে যেতে চাই”-বলছিলেন মাসায়ুকি।
সমালোচকেরা বলছেন পুরুষেরা যে একাকীত্ব বোধ করে সে কারণেই এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।