রোববার নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সাইনোহাইড্রো ব্যুরো অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা।
কোম্পানির বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার হোয়াং জিং বলেন, “সম্ভাব্যতা যাচাইসহ পাঁচ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে মেট্রোরেল বাস্তবায়ন সম্ভব।”
এ সময় চীনের মেট্রোরেলের সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন তিনি।
হোয়াং জিং বলেন, মেট্রোরেল করা হলে নগরীতে যানজট নিরসনসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে।
জাপানের সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে।
সভায় চট্টগ্রামের মেয়র মেট্রোরেল প্রকল্প সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের জন্য চীনা প্রতিনিধি দলকে বলেন।
তিনি বলেন, “চীনের চূড়ান্ত প্রস্তাবের পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে মেট্রোরেল প্রকল্প সম্পর্কে বিবেচনা করা হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিসিসি’র সচিব আবুল হোসেন বলেন, “চীনা প্রতিনিধি দলটি মেট্রোরেল নিয়ে একটি প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছি।
“চীনের আগ্রহ আছে চট্টগ্রাম নগরীতে মেট্রোরেল এবং এমআরটি নির্মাণে। সে কথা তারা জানিয়েছে। তারা নগরীর পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত আছে। তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের পরে সিসিসি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে।”
গত অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় যেসব চুক্তি হয় তার মধ্যে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে ৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ রয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নির্মিত হচ্ছে চায়না ইকোনোমিক জোন। মিরসরাইতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে আরেকটি চীনা শিল্প এলাকাও গড়ে তোলা হবে।